Loading...
Digital Book
Loading...
ন্যানোটেকনোলজি (Nanotechnology)
এইচএসসি
|
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
|
আইসিটি বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত:
ন্যানোটেকনোলজি
ন্যানোটেকনোলজি (Nanotechnology): Nano শব্দটি গ্রীক Nanos থেকে এসেছে যার আভিধানিক অর্থ Dwarf (বামন বা জাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্রাকৃতির প্রাণী)। ন্যানোমিটার স্কেলের সাথে যে সমস্ত টেকনোলজি সম্পর্কিত সেগুলোকেই ন্যানো টেকনোলজি বলা হয়।
অর্থাৎ ন্যানো প্রযুক্তি হল পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।
ন্যানোমিটার হচ্ছে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি একক:
1. এক মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ হল এক ন্যানোমিটার। অর্থাৎ এক ন্যানোমিটার (1nm)= 10-9 m (মিটার)
2. ২৫৪০০০০০ (দুই কোটি ৫৪ লক্ষ) ন্যানোমিটার এ এক ইঞ্চ।
উদাহরণ:
1. একটি চুল হচ্ছে এক লক্ষ ন্যানোমিটার প্রশস্ত।
2. সবচেয়ে ছোট ব্যাকটেরিয়ার আকার ২০০ ন্যানোমিটার।
3. একটা স্বর্ণের পরমাণুর আকার হচ্ছে ০.৩ ন্যানোমিটার। স্ক্যানিং টানেলিং মাইক্রোস্কোপ দিয়ে অণুর গঠন পর্যন্ত দেখা সম্ভব।
ন্যানো প্রযুক্তি দুইটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। যথা-
১। টপ টু ডাউন (Top to Bottom) পদ্ধতি: টপ টু ডাউন পদ্ধতিতে কোন জিনিসকে কেটে ছোট করে তাকে নির্দিষ্ট আকার দেয়া হয়। আমাদের বর্তমান ইলেক্ট্রনিক্স হল টপ টু ডাউন প্রযুক্তি।
২। বটম টু টপ (Bottom to Top) পদ্ধতি: বটম টু টপ হল ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় কোন জিনিস তৈরি করা। আর ন্যানো টেকনোলজি হল বটম টু টপ প্রযুক্তি।
ন্যানোপ্রযুক্তির প্রয়োগ ক্ষত্র (Application Fields of Nano Technology):
1. রাসায়নিক শিল্পে: সানস্ক্রিন এ ব্যবহৃত টিটানিয়াম ডই-অক্সাইড তৈরির কাজে, বিভিন্ন জিনিসের প্রলেপ তৈরির কাজে, পানি বিশুদ্ধিকরণের কাজে।
2. খাদ্য শিল্প: খাদ্যজাত দ্রব্য প্যাকেজিং এর সিলভার তৈরির কাজে, খাদ্যে স্বাদ তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ন্যানো ম্যাটেরিয়াল তৈরিতে।
3. চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ঔষধ তৈরির আণবিক গঠনে যাতে রোগাক্রান্ত সেলে সরাসরি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়।
4. ইলেকট্রনিক্স শিল্পে: ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ খরচ, ওজন এবং আকৃতি কমিয়ে কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
5. জ্বালানী তৈরিতে: হাইড্রোজেন আয়ন এর জন্য ফুয়েল সেল তৈরিতে।
6. নবায়নযোগ্য শক্তি শিল্পে: প্রচলিত সৌর কোষের চাইতে আরও অধিক সাশ্রয়ী ন্যানোটেক সৌর কোষ তৈরিতে এবং বিভিন্ন প্রকার ব্যটারী তৈরিতে।
7. খেলাধুলা ও ক্রিয়া সরঞ্জাম তৈরিতে: খেলাধুলার সামগ্রী যেমন টেনিস বলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য।
8. কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরিতে: পার্সোনাল কম্পিউটারের মেমরি, গতি, দক্ষতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন হার্ডওয়্যার তৈরিতে।
ন্যানো প্রযুক্তির সুবিধা সমূহ (Advantages of Nanotechnology):
1. ন্যানো টেকনোলজি দ্বারা উৎপাদিত পণ্য মজবুত, বেশি টেকসই, স্থায়ী, আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ওজনে হালকা।
2. ন্যানো টেকনোলজির ন্যানো ডায়োড ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ইলেকট্রনিক শিল্প জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হচ্ছে।
3. এই প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
4. ন্যানো টেকনোলজি দ্বারা তৈরি ব্যাটারি, ফুয়েল সেল, সোলার সেল ইত্যাদির মাধ্যমে সৌরশক্তি অধিকতর কাজে লাগানো যায়।
ন্যানো প্রযুক্তির অসুবিধা সমূহ (Disadvantages of Nanotechnology):
1. ন্যানো টেকনোলজি ব্যয়বহুল।
2. ন্যানো টেকনোলজি পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হলে আণবিক শক্তি সহজলভ্য হয়ে যেতে পারে যা মানবজাতির জন্য বিপদজনক।
3. বিকল্প জ্বালানী উৎপাদনের ফলে তেল, গ্যাসের দাম চরমভাবে কমে যেতে পারে।
4. মানুষের শরীরের জন্য ন্যানো পার্টিকেল ক্ষতিকর।
অর্থাৎ ন্যানো প্রযুক্তি হল পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।
ন্যানোমিটার হচ্ছে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি একক:
1. এক মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ হল এক ন্যানোমিটার। অর্থাৎ এক ন্যানোমিটার (1nm)= 10-9 m (মিটার)
2. ২৫৪০০০০০ (দুই কোটি ৫৪ লক্ষ) ন্যানোমিটার এ এক ইঞ্চ।
উদাহরণ:
1. একটি চুল হচ্ছে এক লক্ষ ন্যানোমিটার প্রশস্ত।
2. সবচেয়ে ছোট ব্যাকটেরিয়ার আকার ২০০ ন্যানোমিটার।
3. একটা স্বর্ণের পরমাণুর আকার হচ্ছে ০.৩ ন্যানোমিটার। স্ক্যানিং টানেলিং মাইক্রোস্কোপ দিয়ে অণুর গঠন পর্যন্ত দেখা সম্ভব।
ন্যানো প্রযুক্তি দুইটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। যথা-
১। টপ টু ডাউন (Top to Bottom) পদ্ধতি: টপ টু ডাউন পদ্ধতিতে কোন জিনিসকে কেটে ছোট করে তাকে নির্দিষ্ট আকার দেয়া হয়। আমাদের বর্তমান ইলেক্ট্রনিক্স হল টপ টু ডাউন প্রযুক্তি।
২। বটম টু টপ (Bottom to Top) পদ্ধতি: বটম টু টপ হল ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে বড় কোন জিনিস তৈরি করা। আর ন্যানো টেকনোলজি হল বটম টু টপ প্রযুক্তি।
ন্যানোপ্রযুক্তির প্রয়োগ ক্ষত্র (Application Fields of Nano Technology):
1. রাসায়নিক শিল্পে: সানস্ক্রিন এ ব্যবহৃত টিটানিয়াম ডই-অক্সাইড তৈরির কাজে, বিভিন্ন জিনিসের প্রলেপ তৈরির কাজে, পানি বিশুদ্ধিকরণের কাজে।
2. খাদ্য শিল্প: খাদ্যজাত দ্রব্য প্যাকেজিং এর সিলভার তৈরির কাজে, খাদ্যে স্বাদ তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ন্যানো ম্যাটেরিয়াল তৈরিতে।
3. চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ঔষধ তৈরির আণবিক গঠনে যাতে রোগাক্রান্ত সেলে সরাসরি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়।
4. ইলেকট্রনিক্স শিল্পে: ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ খরচ, ওজন এবং আকৃতি কমিয়ে কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
5. জ্বালানী তৈরিতে: হাইড্রোজেন আয়ন এর জন্য ফুয়েল সেল তৈরিতে।
6. নবায়নযোগ্য শক্তি শিল্পে: প্রচলিত সৌর কোষের চাইতে আরও অধিক সাশ্রয়ী ন্যানোটেক সৌর কোষ তৈরিতে এবং বিভিন্ন প্রকার ব্যটারী তৈরিতে।
7. খেলাধুলা ও ক্রিয়া সরঞ্জাম তৈরিতে: খেলাধুলার সামগ্রী যেমন টেনিস বলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য।
8. কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরিতে: পার্সোনাল কম্পিউটারের মেমরি, গতি, দক্ষতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন হার্ডওয়্যার তৈরিতে।
ন্যানো প্রযুক্তির সুবিধা সমূহ (Advantages of Nanotechnology):
1. ন্যানো টেকনোলজি দ্বারা উৎপাদিত পণ্য মজবুত, বেশি টেকসই, স্থায়ী, আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ওজনে হালকা।
2. ন্যানো টেকনোলজির ন্যানো ডায়োড ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ইলেকট্রনিক শিল্প জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হচ্ছে।
3. এই প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
4. ন্যানো টেকনোলজি দ্বারা তৈরি ব্যাটারি, ফুয়েল সেল, সোলার সেল ইত্যাদির মাধ্যমে সৌরশক্তি অধিকতর কাজে লাগানো যায়।
ন্যানো প্রযুক্তির অসুবিধা সমূহ (Disadvantages of Nanotechnology):
1. ন্যানো টেকনোলজি ব্যয়বহুল।
2. ন্যানো টেকনোলজি পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হলে আণবিক শক্তি সহজলভ্য হয়ে যেতে পারে যা মানবজাতির জন্য বিপদজনক।
3. বিকল্প জ্বালানী উৎপাদনের ফলে তেল, গ্যাসের দাম চরমভাবে কমে যেতে পারে।
4. মানুষের শরীরের জন্য ন্যানো পার্টিকেল ক্ষতিকর।
: 0
: 0
:
92
Author
Date
27-10-2025
: 0
: 0
:
103
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
১ম অধ্যায় |
রোবট
: 0
: 0
:
93
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
১ম অধ্যায় |
ডাটা
: 0
: 0
:
98
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
১ম অধ্যায় |
বায়োইনফরমেটিক্স
: 0
: 0
:
106
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
৩য় অধ্যায় |
সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর
: 0
: 0
:
84
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
৩য় অধ্যায় |
সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর
: 0
: 0
:
97
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
২য় অধ্যায় |
ইন্টারনেট
: 0
: 0
:
89
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
২য় অধ্যায় |
ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড
: 0
: 0
:
111
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
১ম অধ্যায় |
ডাটা
: 0
: 0
:
100
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
৩য় অধ্যায় |
ফ্লিপ-ফ্লপ এবং রেজিস্টার
: 0
: 0
:
125
এইচএসসি |
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি |
৩য় অধ্যায় |
বাইনারি সংখ্যার যোগ-বিয়োগ
ডিজিটাল স্কুল কলেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম- এসসিএমএস দেশের সর্বাধুনিক পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট স্কুল কলেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং আপনার প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববাসীর কাছে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে এসসিএমএস পরিবারের একজন গর্বিত সদস্য হোন। বিদ্যার্থীগণ এসসিএমএস এর বিশাল তথ্য ভাণ্ডার থেকে ব্লগ, বড় প্রশ্ন, ছোট প্রশ্ন, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন, উপকরণ, ডিজিটাল বই, ইলেক্ট্রনিক্স বই, গান, কবিতা, রচনা, ছড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের অধ্যয়ন করতে পারবে। বিদ্যার্থীগণ এসসিএমএস এর তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবে সেই প্রত্যাশা এবং শুভকামনা রাখি।
Copyright 2025 School College Management System All Right Reserved.
|
Developed by Sabyasachi Bairagi